২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিল। ম্যাচ শেষ হওয়ার মাত্র দুই মিনিট আগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দুর্দান্ত গোলে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে জয় তুলে নেয় সেলেসাওরা। এর আগে শেষ দুই ম্যাচে এক জয় ও এক ড্র নিয়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা হতাশায় ছিল।
শুক্রবার (২১ মার্চ) গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে চলছিল টান টান উত্তেজনা। ৯৮ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন ছিল ১-১ সমতায়। ম্যাচ শেষ হতে দু’ মিনিট বাকি থাকতে অ্যাটাকে ছিল ব্রাজিল। তরুণ ভিনির পায়ে বল। বাঁ দিকর ২৫ গজ দূর থেকে লম্বা শট নেন তিনি। সেই শট আর আটকাতে পারেন নাই কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ক্যামিলো ভার্গাস। বল জালে জড়াতেই গর্জে উঠল ব্রাজিলিয়ার গারিঞ্চা স্টেডিয়াম। রোমাঞ্চ, উত্তেজনা আর স্বস্তির মিশেলে ব্রাজিল তুলে নিল এক মহাগুরুত্বপূর্ণ জয়!
এদিন নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। বক্সের মধ্যে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ফাউল করায় পেনাল্টির পায় তারা। স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বার্সেলোনা তারকা রাফিনহা। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ব্রাজিল। ৪১ মিনিটে লুইস দিয়াজের দারুণ এক ফিনিশিংয়ে সমতায় ফেরে কলম্বিয়া। ১-১ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলের খেলায় ছিল ছন্দহীনতা। ভিনি-রাফিনিয়ারা বেশ কয়েকবার আক্রমণ করলেও কলম্বিয়া গোলরক্ষক কামিলো ভার্গাস তা প্রতিরোধ করেন। ৬৩ মিনিটে অবশ্য গোলও পেয়ে যায় সফরকারী কলম্বিয়া। তবে তার আগে গোলরক্ষক অ্যালিসনকে ফাউল করায় তারা সমতায় ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করে। ম্যাচ তখন এগিয়ে যাচ্ছিল ড্রয়ের দিকে। রেফারি নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করেন আরও ১০ মিনিট।
শেষ মূহুর্তে দুই দলই লিড পাওয়ার আশায় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তোলে গারিঞ্চা স্টেডিয়াম। এভাবে চলে আরো আট মিনিট। ততোক্ষণে দর্শকরাও যখন হতাশা নিয়ে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তখনই জ্বলে উঠলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। শেষ বাঁশি বাজার আগে বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে বলে জাল জড়ান এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়েই আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২৬ মার্চের সুপার ক্লাসিকোর আগে প্রস্তুতিটা সেরে রাখলেন তারা।
এ জয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এল ব্রাজিল। ১৩ ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েন্ট এখন ২১। আর ব্রাজিলের কাছে হেরে কলম্বিয়া নেমে গেছে ৬ নম্বরে। ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৯।
